বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা-স্ফীতিতে আক্রান্তদের শারীরিক উপসর্গ আগের দু’বছরের তুলনায় তুলনামূলক ভাবে অনেকটা কম। তবে এবারের ধরন ওমিক্রণ অনেক বেশি সংক্রামক। তাই করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও অনেকের শারীরিক সমস্যাগুলি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা যাকে ‘লং কোভিড’ বলে চিহ্নিত করেছেন।
তবে সাম্প্রতি একটি গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্দি-কাশি, জ্বর-গলা ব্যথার মতো শারীরিক উপসর্গগুলির পাশাপাশি অনেকেই শ্রবণশক্তিও হারিয়ে ফেলছেন। এই সমস্যাটি আক্রান্ত থাকাকালীন অথবা করোনা-পরবর্তী সময়েও দেখা যেতে পারে।
নিউ ইয়র্কের ইউনিভার্সিটি অব বাফেলো এবং বস্টনের হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের আই অ্যান্ড ইয়ার ইনস্টিটিউট-এর গবেষকরা এই গবেষণাটি করেছেন।
গবেষণা বলছে, কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তিরা কানে ব্যথা, কানের ভিতর ভোঁ ভোঁ আওয়াজ, এমনকি এবং শ্রবণশক্তি হ্রাসের মতো শারীরিক উপসর্গের সম্মুখীন হচ্ছেন। ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার পরেও অনেকে এই কান সংক্রান্ত সমস্যায় নাজেহাল হচ্ছেন। তবে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে এই উপসর্গটি এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি।
তবে, করোনায় আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৮ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষের এই শ্রবণশক্তি হ্রাস বা কানে ব্যথার মতো কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, যা এক দিকে বিরক্তিকর এবং পাশাপাশি উদ্বেগজনকও বটে।
অন্যদিকে চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার সাম্প্রতি স্ফীতিতে শ্রবণশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা বেশি করে সামনে আসছে, কিন্তু করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গেও বেশ কিছু মানুষ এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। করোনা ভাইরাস কানের সোয়ান কোষগুলিতে প্রভাব ফেলতে সক্ষম।
আক্রান্ত থাকাকালীন কানের সমস্যা দেখা দিলে সবার প্রথমে একজন ইএনটি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। এ ছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েকটি পদ্ধতি যেমন— গভীর শ্বাসের ব্যায়াম, ভাসোডিলেশন এবং স্টেরয়েড থেরাপি ইত্যাদি এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক ভাবে সহায়ক হতে পারে।